জিজ্ঞাসা-২৯০:
কবুল না পড়ে শুধু রেজিস্ট্রি করলে বিবাহ হবে কিনা?
স্বামী-স্ত্রী এক সাথে থাকতে পারবে কি না? তারিখ-০১/১০/২২ ইংরেজি
মাওলানা হেলাল উদ্দিন চট্টগ্রাম থেকে-----
জবাব: نحمد هو ونصلي على رسوله الكريم ما بعد
হামদ-সানা ও দরুদের পর কথা হলো, এ বিষয়ে
فصيغة الإيجاب والقبول لا يصح النكاح إلا بها في قول جمهور الفقهاء، ومنهم المذاهب الأربعة
অর্থাৎ ইজাব (প্রস্তাব) এবং কবুল (সম্মতি) ব্যতীত বিবাহ শুদ্ধ হবে না এটা জমহুর ফোকাহা এবং এর মধ্য চার ইমামও রয়েছেন।
يُشتَرَطُ اتِّحادُ مجلِسِ الإيجابِ والقَبولِ، وذلك باتِّفاقِ المَذاهِبِ الفِقهيَّةِ الأربَعةِ: الحَنَفيَّةِ، والمالِكيَّةِ، والشَّافِعيَّةِ، والحَنابِلةِ ؛ وذلك لأنَّ عدَمَ الرَّدِّ في المجلِسِ إعراضٌ عنه أشبَهَ ما لو رَدَّه
অর্থাৎ সম্মানিত চার ইমামের এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো একই মজলিসে/বৈঠকে ইজাব ও কবুল হতে হবে। যেমন,
1/الحَنَفيَّةُ لا يشترطون الفَورَ بين الإيجابِ والقَبولِ، لكِنْ مع عدم الفَصلِ الكثير. ((الدر المختار للحصكفي وحاشية ابن عابدين)) (3/14)، ((البحر الرائق)) لابن نجيم (3/89).
(2) المالِكيَّة يرون تراخيَ القَبولِ عن الإيجابِ إن كان يسيرًا، وبعضُهم صَرَّح بأنَّه يلزم الفَورُ من الطرفينِ، فإن تأخَّر القَبولُ يسيرًا جاز. ((مواهب الجليل)) للحطاب (5/47)، ((الشرح الكبير للدردير وحاشية الدسوقي)) (2/221)، ((منح الجليل)) لعليش (3/268).
(3) الشَّافِعيَّةُ يشترطون الفورَ بين الإيجاب والقبولِ، ولا يضُرُّ الفَصلُ اليسيرُ. ((روضة الطالبين)) للنووي (7/37)، ((أسنى المطالب)) لزكريا الأنصاري (3/117).
(4) الحَنابِلةُ لا يشترطون الفَورَ ما لم يتفَرَّقا من المجلسِ حتى لو طال الفَصلُ، أو لم يتشاغلَا بما يقطَعُه عُرفًا. ((شرح منتهى الإرادات)) للبهوتي (2/633).
(5) ((مطالب أولي النهى)) للرحيباني (5/50)
لأن الأصل في العقود هو الرضا، لقوله تعال: {إلا أن تكون تجارة عن تراض منكم} [النساء:29/ 4] وقوله عليه الصلاة والسلام:
«إنما البيع عن تراض».
অর্থাৎ ফোকাহায়ে কেরামগণ বিয়ে কে একটি চুক্তির সাথে তুলনা করেছেন, আর চুক্তিটি সন্তুষ্ট চিত্তে হতে হবে, যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
Surah An-Nisa, Verse 29
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। সূরা নিসা-২৯
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই বেচাকেনা হল সন্তুষ্টির ওপর নির্ভরশীল। ইবনে মাজাহ-২১৮৫
যেমন, একজন বলল আমি মালটি বিক্রি করলাম আর একজন বলল আমি কিনলাম, বিয়েটি তদ্রুপ একজন বলল আমি তোমাকে বিবাহ করব অপরজন বলল আমি কবুল করলাম।
مادة اللفظ: وعليه فلا يشترط في العقود كالبيع والإيجار والرهن والهبة ونحوها لفظ معين أو عبارة مخصوصة، كأن يقول البائع
উপরোক্ত আলোচনার মূল কথা হলো, যদি কোন পক্ষই দুজন পুরুষ সাক্ষীর সামনে, অথবা একজন পুরুষ দুইজন মহিলা সাক্ষীর সামনে মুখে ইজাব কবুল না করে থাকে, শুধু শুধু রেজিস্ট্রি করে/ কাবিন করে থাকে, তাহলে উপরোক্ত পদ্ধতিতে বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।
সুতরাং কবুল না পড়ে শুধু রেজিস্ট্রি করলে বিবাহ হবে না এবং স্বামী স্ত্রী হিসেবে যেকোনো ধরনের সম্পর্ক ও এক জায়গায় অবস্থান করতে পারবে না। কেননা সে এখনো স্ত্রী হয় নাই। সূত্র: দররুল মুখতার-৩ খন্ড ৯ পৃষ্টা; খুলাসাতুল ফাতাওয়া-২/৪৮, জাদীদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/২৮৭-২৮৮
والله اعلم بالصواب