জিজ্ঞাসা-১৩৪: মেহরাব
কি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত ?
উত্তর। ক। হ্যা, শায়েখ আপনার জানা সঠিক, যখন ইমাম দাড়াবে তখন কমপক্ষে পা টুকু মেহরাবেরর বাহিরে রাখবে। তাহলে আর কোন প্রশ্ন থাকে না । এটাই উত্তম পন্থা। সূত্র: মাসায়েলে
ইমামত, ইমাম দাড়ানো অধ্যায়।
খ।
محراب (মিহরাব) শব্দটি اسم الة واحد مقعال (মিফআলুন) –এর ওজন, শাব্দিক অর্থ
হলো- , অস্রাগার, অস্র রাখার স্হান,
যন্ত্রাংশ রাখার স্হান। নবী (ﷺ)এর যুগে মেহরাব ছিল, তবে তা সেজদা দেওয়ার জন্য ছিল না । যুদ্ধের
যন্ত্রাংশ রাখার জন্য ছিল। সাহাবায়ে কেরাম গন নামাজ আদায় করার আগে যুদ্ধের তরবারি,
বল্লম, তীর, ইত্যাদি
একটা নির্দিষ্ট স্থান মেহরাবে রাখতেন যেন সালাত আদায় করে তারাতারি এগুলো নিয়ে
যুদ্ধে শামিল হতে পারে। সুতরাং বলা যায় মূল মসজিদের দেয়ালের বাহিরে বর্ধিত অংশ মেহরাব।
প্রশ্ন। বর্তমান যুগে বা বাংলাদেশের মেহরাব মসজিদের অন্তুভুক্ত কিনা?
উত্তর: এ বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
বর্তমান সময়ের মেহরাব মসজিদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং ইমাম তার ভেতর নামাজ আদায় করতে পারবে এবং এতেকাফকারী মেহরাবে যেতে
পারবে। এ কারণে নামাজ এবং এতেকাফ নষ্ট হবে না। -শরহুল
মুনইয়া ৩৬১; আলবাহরুর রায়েক ২/২৬; রদ্দুল
মুহতার ১/৬৪৬
** মসজিদের সামনে অতিরিক্ত অংশ টা কে মেহরাব বলে।
** মেহরাব অর্থ হল, অস্রাগার, অস্র
রাখার স্হান, যন্ত্রাংশ রাখার স্হান।
** নবী (ﷺ) এর যুগে
মেহরাব ছিল, তবে তা সেজদা দেওয়ার জন্য ছিল না । যুদ্ধের যন্ত্রাংশ রাখার জন্য ছিল।
সাহাবায়ে কেরাম গন নামাজ আদায় করার আগে যুদ্ধের তরবারি, বল্লম, তীর,
ইত্যাদি একটা নির্দিষ্ট স্থান মেহরাবে রাখতেন যেন সালাত আদায় করে
তারাতারি এগুলো নিয়ে যুদ্ধে শামিল হতে পারে।
তাই বর্তমান যুগে যুদ্ধ ও নাই ইহার প্রয়োজন ও নাই। মেহরাব মসজিদের অংশ নহে।
শরীয়তের মাসআলা মতে, মেহরাবে যদি আপনি সমস্ত শরীর ঢুকাইয়া যদি নামাজ পড়েন আপনার সেই নামাজ কবুল
হবে না।
والله اعلم بالصواب
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন