প্রশ্ন: রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করা কি সুন্নাত? এ বিষয়ে দলিলসহ জানতে চাই?
উত্তর: ১। আল্লাহ বলেছেন:“নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মাঝে আছে
উত্তম আদর্শ। তাদের জন্যযারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ
করে।” সূরা আল-আহযাব : ২১ ইবনে কাছীর রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন:
“এই মহান আয়াতটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহিওয়া সাল্লাম এরপ্রতিটি কথা, কাজ ও প্রতিটি
মুহূর্ত অনুসরণের ব্যাপারে একটি মহান মূলনীতি।”(তাফসীরে ইবনে
কাসীর-৩/৭৫৬)
২। আমরা জানি, রসূলের যুগে শরেীয়তের বিধান ভাগ ছিল না(ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাতে
মুয়াক্কাদা-জায়েদা, নফল ও মুস্তাহাব
ইত্যাদি) পরবর্তীতে ফুকাহায়ে কেরামগণ এই ভাগটা করেছেন
গুরুত্বের উপর। যেমন যে কাজ রসূল নিয়মিত করতেন, সেটাকে
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আর যেটা নিয়মিত করতে না সেটাকে সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা বা
জায়েদা বলা হয়। উদাহরণ ফজরের দুরাকাত সুন্নাত, যহরের ছয়
রাকাত সুন্নাত, মাগরিবের দুরাকাত এবং ঈশার পর রাকাত এগুলো
নবীজি সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মত আদায় করতেন কিন্তু আছরের পূর্বে এবং
ঈশার পূর্বে চার রাকাত সুন্নাত নিয়মিত পড়তেন না (তাই এইগুলো সুন্নতে
গয়রে মুয়াক্কাদা)।
৩। এখন আমরা দেখবো এতেকাফ নবীজি সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম নিয়মত করতেন কী না ? হাদিসের দলিল: এ সংক্রান্ত অনেক হাদিস
রয়েছে। যেমন আয়েশা (রা.) এর হাদিস: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রমযান মাসের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন। তাঁর
মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণও ইতিকাফ করেছেন।”[সহিহ বুখারী
(২০২৬) ও সহিহ মুসলিম (১১৭২)]
৪। সুন্নাত বিষয়ে আলেমদের
ইজমা : ইবনুল মুনযির তাঁর ‘আল-ইজমা’ নামক গ্রন্থে (পৃষ্ঠা-৫৩) বলেন: আলেমগণ
ইজমা করেছেন যে, ইতিকাফ সুন্নত; ফরয
নয়। তবে কেউ যদি মানত করে নিজের উপর ফরয করে নেয় তাহলে ফরয হয়। ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদা।রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই সুন্নত নিয়মিত পালন করতেন।
ইজমা: একাধিক আলেম ইতিকাফ শরয়ি বিধান হওয়ার পক্ষে ইজমা
উদ্ধৃত করেছেন; যেমন- ইমাম নববী, ইবনে কুদামা [দেখুন: আল-মাজমু (৬/৪০৪),
আল-মুগনি (৪/৪৫৬), শারহুল উমদা (২/৭১১)।
৫। আলেমদের উক্তি : ইবনে শিহাব যুহ্রী বলেন:“এটি খুবই আশ্চর্যজক যেমুসলমানেরাইতিকাফকরছে না। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম মদিনাতে আসার পর থেকে আল্লাহ তাঁকে মৃত্যুদান করা পর্যন্ত তিনি ইতিকাফ
বাদ দেননি।
৬। ফুকাহায়ে কেরামগণ মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে এটাকে কিফায়া করেছেন- না হলে সবার করা লাগতো। (উসূলে ফিকহের পরিভাষায় তাকে ইসতিহাসান বলে) G cÖm‡½ Bgvg KyiZyex in. [1214-1273 wLª.]
e‡jb: ʈة eyw×we‡ePbvm¤úbœ e¨w³M‡Yi g‡a¨ G e¨vcv‡i †Kvb gZcv_©K¨
†bB †h, bexivm~jM‡Yi AvbxZ kixqv‡Zi D‡Ïk¨ n‡”Q, m„wói BnKvjxb I ciKvjxb Kj¨vY
mvab Kiv (Al-Qurtubī 2003, 2/6)|
Bgvg
kvwZex in. [1320-1388wLª.] e‡jb: weavb`vZv (Avjvn& ZvAvjv) gvbeKj¨vY‡K
we‡ePbv K‡iB kixqvZ (Bmjvgx wewaweavb) cÖYqb K‡i‡Qb Ges G e¨vcv‡i mK‡jB GKgZ ((Al-Shātibī 1997, 1/221)|
রমজানের শেষ দশকে পুরুষের জন্য জামাতে নামায হয় এমন মসজিদে
ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদা আলা কিফায়া।
যদি এক এলাকার কেউ ইতিকাফ আদায় না করে, তাহলে পুরো এলাকাবাসী গোনাহগার
হবে। (দুররে মুখতার: ২/৪৪০)
والاعتكاف المطلوب شرعا على ثلاثة اقسام….. وسنة كفاية مؤكدة فى العشر الأخير من رمضان الخ (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-382، هداية-1\229، الفتاوى الهندية-1\211، رد المحتار-3\430
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন