প্রশ্ন। মাওলানা তারেক মুনাওয়ার এর বয়ানে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি
পায়ের সাথে পা মিলে দাঁড়াবে আল্লাহ জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মান করবেন। কথাটুকু
কতটুকু সহিহ?
উত্তর:
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ
مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِىْ صَفَّ رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً وَبَنَى لَهُ
بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে ফাঁক
বন্ধ করে দাঁড়াবে, এর বিনিময়ে আললাহ তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি
করে দিবেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৫৭৯৫; মুছান্নাফ
ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৮২
উপরোক্ত হাদিসে পায়ের সাথে পা লাগানোর কথা বলা হয়নি, যেন ফাকা না থাকে, সে কথা বলা হয়েছে। তবে আহলে হাদিস ভাইয়েরা এটাকে পায়ের সাথে পা লাগানোর
ব্যাখ্যা করে। নিম্নে আরও দুটি উল্লেখ করা হলো:
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ: «رُصُّوا صُفُوفَكُمْ وَقَارِبُوا بَيْنَهَا وَحَاذُوا بِالْأَعْنَاقِ
فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَرَى الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ مِنْ خَلَلِ
الصَّفِّ كَأَنَّهَا الْحَذَفُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ (সালাতে) তোমাদের কাতারগুলো মিলেমিশে দাঁড়াবে এবং
কাতারগুলোও কাছাকাছি (প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে) বাঁধবে। নিজেদের কাঁধ মিলিয়ে
রাখবে। কসম ওই জাতে পাকের যাঁর হাতে আমার জীবন! আমি শায়ত্বনকে তোমাদের (সালাতের)
সারির ফাঁকে ঢুকতে দেখি যেন তা হিজাযী ছোট কালো বকরী। সহীহ : আবূ দাঊদ ৬৬৭,
ইবনু খুযায়মাহ্ ১৫৪৫, ইবনু হিব্বান ৬৩৩৯,
সহীহ আত্ তারগীব ৪৯৪
সূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেনঃ
তোমরা তোমাদের সালাতের কাতারগুলোকে সোজা রাখো, কাঁধকে সমান করো, ভাইদের
হাতের সাথে হাত নরম করে রাখো। কাতারের মাঝে খালি স্থান ছাড়বে না। তা না হলে শায়ত্বন (শয়তান)
তোমাদের মাঝে হিজাযী ছোট কালো ছাগলের মতো ঢুকে পড়বে। অর্থাৎ ভেড়ার ছোট বাচ্চা। আহমাদ ২২২৬৩
হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বুখারীতে বর্ণিত হাদীসের
ব্যাখ্যায় ফাতহুল বারীতে উল্লেখ করেছেন
المراد بذلك المبالغة فى تعديل الصف وسد خلله (فتح البارى-2/211
অর্থাৎ এটা দ্বারা উদ্দেশ্য হল-কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে
গুরুত্ব বুঝানো, আর কাতারের মাঝে ফাঁক বন্ধ করা। {ফাতহুল বারী-২/২১১}
উত্তর দিচ্ছেন, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক (বগুড়া)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন