জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর কথা হলো, আপনার প্রশ্ন আলোকে আলোচনাটিকে সহজভাবে বুঝার জন্য কয়েকভাগে ভাগ করেছি।
প্রশ্ন: ক। কবরের প্রকারভেদ?
উত্তর: ক। কবর দুই প্রকার। (০১) আশ-শাক্কু বা সিন্দুক কবর (০২) আল-লাহদ বা বহলী কবর। বগলী ও সিন্দুকী উভয় প্রকার কবরই বৈধ। কারণ, নবী (ﷺ) এর যুগে উভয় প্রকার কবরই প্রচলিত ছিল। আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, মদীনায় কবর খননকারী ২টি লোক ছিল। একজন বগলী এবং অপরজন সিন্দুকী কবর খনন করত। সূত্র: ইবনে মাজাহ ১৫৫৭, আহমাদ ৩/৯৯
الشق: وهو أن يحفر في وسط القبر حفرة على قدر الميت، ويُبنى جانباها بالطوب اللبن حتى لا تنضم على الميت، ويوضع فيها الميت على جنبه الأيمن مستقبلاً القبلة، ثم تسقف هذه الحفرة بأحجار أو غيرها ويرفع السقف قليلاً بحيث لا يمس الميت، ثم يهال التراب عليه.
অর্থাৎ আশশাক্কু বা সিন্ধুকী কবর: কবরের মাঝখানে মৃতের সমান গর্ত খনন করা এবং মাটির ইট দিয়ে তার দুপাশ নির্মাণ করা যাতে মৃতের সাথে মিলিত না হয় এবং মৃতকে তার ডান দিকে কেবলামুখী করে রাখা। এই গর্তটি পাথর বা অন্য কিছু দিয়ে ছাদ করুন এবং ছাদটি একটু উঁচু করুন যাতে মৃত ব্যক্তি স্পর্শ না করে, তারপরে তার উপর ময়লা ছড়িয়ে পড়ে।
اللحد: أن يحفر في أسفل جدار القبر الأقرب إلى القبلة مكاناً يوضع فيه الميت على جنبه الأيمن مستقبل القبلة ثم تسد هذه الحفرة بالطوب اللبن خلف ظهر الميت، ثم يهال التراب عليه
অর্থাৎ আল-লাহদ বা বগ্লী কবর" : কিবলার সবচেয়ে কাছের কবরের দেয়ালের নিচ দিয়ে এমন একটি জায়গা খনন করতে যেখানে মৃতকে তার ডান পাশে কিবলার দিকে মুখ করে রাখা হয়, তারপর এই গর্তটি মৃতের পিঠের পিছনে মাটির ইট দিয়ে ভরা হয়, তারপর মাটি ফেলা হয়।
প্রশ্ন: খ। কোন কবর উত্তম?
উত্তর: খ। উভয় প্রকার কবরের মধ্যে বগলী কবরই আফযাল উত্তম। কারণ এই কবরেই মহানবী (ﷺ)-কে দাফন করা হয়েছিল। আসল কথা হলো, যে স্থানের মাটি আলগা ও নরম, সে স্থানের সিন্দুকী এবং যে স্থানের মাটি টাইট ও শক্ত; ধসার ভয় থাকে না, সে স্থানে বগলী কবর খনন করা উত্তম। সূত্র: মাজমু, নওবী ৫/২৮৫, আউনুল মা'বুদ ৯১৯ প্রভৃতি
আর এ কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের শক্ত মাটিতে বগ্লী কবর খোদাই করা হয়।আবার বাংলাদেশের মাটি নরম বিধায় সাধারণত সিন্ধুকী কবর করা হয়।
প্রশ্ন: গ। কেউ যদি সাগরে জাহাজে মৃত্যবরণ করে, কুলে নিতে দেরি হবে, এমতাবস্থায় কি করা যাবে?
উত্তর: গ। সমুদ্রের মাঝে জাহাজ-স্টীমারে কারও মৃত্যু হলে এবং তীরে জাহাজ লাগতে অসাধারণ দেরী হলে এবং ফ্রিজ না থাকলে ও লাশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে গোসল-কাফন দিয়ে জানাযা পড়ে পিঠের নিচে একটি ভারি কিছু বেঁধে সমুদ্রে সলিল-সমাধি দেওয়াও প্রয়োজনে বৈধ। সূত্র: ইবনে আবী শাইবাহ ১১৮৪৯-১১৮৫০
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন