জিজ্ঞাসা-১২৪১০:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ،
وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلَامَةِ، وَالْإِسْلَامِ، وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ،
وَجَوَازٍ مِنَ الشَّيْطَانِ .
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে এ বছরে আগমন
ঘটান শান্তি ও নিরাপত্তা এবং ঈমান ও ইসলামের (উপর অবিচলতার) সাথে; শয়তান থেকে
সুরক্ষা ও দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে।
এ দুআটি কি নতুন বছর আগমনের জন্য, এ বিষয়ে কোন নস
আছে কি? সনদের হুকুম কি? তারিখ:
০২/০১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা নাছির উদ্দিন কঙ্গো ও মাওলানা আনোয়ার সিলেট থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, হ্যাঁ, দুআটি নতুন মাস/বছরের
জন্য সাহাবায়ে কেরাম আমল করতেন। দলিল:
هذا الخبر رواه الطبراني في “المعجم الأوسط” (6 / 221)، قال: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الصَّائِغُ قَالَ: أخبرنا مَهْدِيُّ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّمْلِيُّ قَالَ: أخبرنا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي عُقَيْلٍ زُهْرَةُ بْنُ مَعْبَدٍ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هِشَامٍ قَالَ: ” كَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَتَعَلَّمُونَ هَذَا الدُّعَاءَ إِذَا دَخَلْتِ السَّنَةُ أَوِ الشَّهْرُ: اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ، وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلَامَةِ، وَالْإِسْلَامِ، وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ، وَجَوَازٍ مِنَ الشَّيْطَانِ .
অর্থাৎ ইবনে হিশাম (রহ.) বলেন, নবি এর সাহাবাগণ
এই দুআটি বছর অথবা মাসের শুরুতে আমল করতেন, اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ، وَالْإِيمَانِ،
وَالسَّلَامَةِ، وَالْإِسْلَامِ، وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ، وَجَوَازٍ مِنَ
الشَّيْطَانِ .
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে এ বছরে আগমন
ঘটান শান্তি ও নিরাপত্তা এবং ঈমান ও ইসলামের (উপর অবিচলতার) সাথে; শয়তান থেকে
সুরক্ষা ও দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে। তাখরিজ: তাবারানি মুজামুল আউসাত-৬
খণ্ড;২২১ পৃ.
দ্বিতীয় কথা হলো, হাদিস/আসারটি সনদের হুকুম নিয়ে
মতভেদ রয়েছে। যেমন,
قال الحافظ ابن حجر رحمه الله تعالى:
” رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ… ضعيف رجح أبو حاتم عليه ابن لهيعة، وقال ابن
يونس: كان صالحا في دينه، فأدركته غفلة الصالحين، فخلط في الحديث ” انتهى من
“تقريب التهذيب” (ص 209).
لكن قد تابع رشدين حيوةُ بإسناد صحيح، رواه البغوي في “معجم الصحابة” (3 / 543
অর্থাৎ হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. বলেন, এর
সনদ জয়িফ, কেননা রশিদ ইবনে সাদ নামক রাবি জয়িফ। সূত্র: তাকরিবুত তাহজিব-২০৯ পৃ.
ইমাম বাগবি রহ.বলেন, সনদ সহিহ। সূত্র:
মুজামুল সাহাবি-৩/৫৪৩ পৃ.
প্রশ্ন: ক। জয়িফ/দুর্বল হাদিসের হুকুম কি?
উত্তর: ক। এ বিষয়ে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.) বলেন, “হালাল-হারামের বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকি। তবে ফজিলতের ক্ষেত্রে নমনীয়তা অবল্বমন করি।”
ইমাম নববি (রহ.) বলেন, “ফজিলত, উৎসাহ বা ভীতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে জয়িফ (দুর্বল) হাদিসের আমল করা উত্তম। কিন্তু জাল হাদিস থেকে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরাম ঐকমত্য পোষণ করেছেন।” সূত্র : আল-আজকার,১১-১২
শেষ কথা হলো, আপনার প্রশ্নে বর্ণিত আসারটি নতুন
বছর/মাস শুরুতে আমলযোগ্য কোন অসুবিধা নেই।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন