জিজ্ঞাসা-১২৫৭১:
আছছালামু আলাই কুম ওয়ারহমাতুল্লহ, মুহতারমুল আল্লামের সমীপে ইলম হাছিলের বিষয় হচ্ছে -তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে যদি ছলাতুল হাজত,ইস্তিগফার,তাহইয়াতুলঅজু ইত্যাদি এবং ২/৪ রাকাত তাহাজ্জুদের ছলাত আদায় করাহয় তাহলে কি উপর্যুক্ত ছলাতসমূহ তাহাজ্জুদে গণ্যহবে? নতুবা ইহা ছাড়াও ৮ বা ১২ রাকাত তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করতেহবে? দলীলসহকারে ইলমদানে বাধিত করলে মুয়াল্লিম এবং মুতায়াল্লিম অশেষ ছাওয়াব প্রাপ্তিতে ধন্যহবে।
তারিখ: ২৯/০৪/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা মাহবুবুর রহমান, পিরোজপুর থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, নফল সালাতে একই নামাজে একাধিক নিয়ত জায়েজ। এটি একটি কিয়াসি মাসয়ালা। ফোকাহায়ে কেরামগণ নিম্নের হাদিসগুলো থেকে দলিল গ্রহণ করেছেন।
হাদিস নং -০১
وَحَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، - رضى الله عنه - قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ جَمِيعًا . قَالَ بَكْرٌ فَحَدَّثْتُ بِذَلِكَ ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ لَبَّى بِالْحَجِّ وَحْدَهُ . فَلَقِيتُ أَنَسًا فَحَدَّثْتُهُ بِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ فَقَالَ أَنَسٌ مَا تَعُدُّونَنَا إِلاَّ صِبْيَانًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجًّا " .
হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে একত্রে হজ্জ ও উমরার তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। বকর বলেন, আমি এই হাদীস ইবনে উমর (রাযিঃ) এর কাছে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জের তালবিয়া পাঠ করেছেন। অতঃপর আমি আনাস (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাত করে তার কাছে ইবনে উমর (রাযিঃ) এর বক্তব্য উল্লেখ করি। তখন আনাস (রাযিঃ) বললেন, তোমরা আমাদেরকেও শিশুই মনে কর। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একত্রে হজ্জ ও উমরার তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তাখরিজ: সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৩২
ব্যাখ্যা: এক তালবিয়া হজ ও ওমরার জন্য ছিল। সুতরাং একই সালাতে একাধিক নিয়ত বৈধ হবে।
হাদিস নং -০২
عَنْ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ، وَلِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى
উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেনঃ কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত এবং প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য তার নিয়ত অনুযায়ী। তাখরিজ: বুখারি-৫৪
হাদিস নং -০৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ، مَوْلَى أَبِي عُيَيْنَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِي، ذَرٍّ أَنَّ نَاسًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ بِالأُجُورِ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ وَيَتَصَدَّقُونَ بِفُضُولِ أَمْوَالِهِمْ . قَالَ " أَوَلَيْسَ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَكُمْ مَا تَصَّدَّقُونَ إِنَّ بِكُلِّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقَةً وَكُلِّ تَكْبِيرَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلِّ تَحْمِيدَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلِّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةٌ وَأَمْرٌ بِالْمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهْىٌ عَنْ مُنْكَرٍ صَدَقَةٌ وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ قَالَ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِي الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ " .
আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা আয-যুবাঈ (রাহঃ) ... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের কয়েকজন নবী (ﷺ) কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! বিত্তবানরা সাওয়াব নিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের মত নামায আদায় করেন, আমাদের মত রোযা পালন করেন এবং তারা নিজেদের ধন সম্পদ হতে কিছু দান করে থাকেন। তিনি বললেন, তোমাদের জন্য কী আল্লাহ তাআলা সাদ্কা করার ব্যবস্থা করেননি? প্রতিটি তাসবীহ সাদ্কা, প্রতিটি তাকবীর সাদ্কা, প্রতিটি তাহমীদ সাদ্কা, প্রতিটি তাহলীল সাদ্কা, সৎকাজের আদেশ দেয়া, অসৎকাজ হতে বিরত রাখা সাদ্কা এবং স্ত্রীর সঙ্গে মিলনও সাদ্কা। তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কেউ যদি স্ত্রী সঙ্গম করে এতেও কি সে সাওয়াব পাবে? তিনি বললেন তোমরা কি মনে কর যদি সে কামাচার করে হারাম পথে তাতে কি তার পাপ হবে না? অনুরূপভাবে যদি সে কামাচার করে হালাল পথে, তবে সে সাওয়াব পাবে।
তাখরিজ: সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০০৬
ব্যাখ্যা: স্ত্রীর সাথে মিলনও সদকা। একদিকে নিজের জৈবিক চাহিদা মিটছে অপর দিকে সওয়াব মিলছে। দুটি বিষয় পাওয়া গেল।
হাদিস নং -০৪
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي بَحِيرٌ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ أَبِي بَحْرِيَّةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ : " الْغَزْوُ غَزْوَانِ فَأَمَّا مَنِ ابْتَغَى وَجْهَ اللَّهِ، وَأَطَاعَ الإِمَامَ، وَأَنْفَقَ الْكَرِيمَةَ، وَيَاسَرَ الشَّرِيكَ، وَاجْتَنَبَ الْفَسَادَ، فَإِنَّ نَوْمَهُ وَنَبْهَهُ أَجْرٌ كُلُّهُ وَأَمَّا مَنْ غَزَا فَخْرًا وَرِيَاءً وَسُمْعَةً، وَعَصَى الإِمَامَ، وَأَفْسَدَ فِي الأَرْضِ، فَإِنَّهُ لَمْ يَرْجِعْ بِالْكَفَافِ " .
অর্থাৎ মু‘আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যুদ্ধ দু‘প্রকার, ১. যে আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য যুদ্ধ করে এবং ইমামের অনুগত্যে থাকে, নিজের উৎকৃষ্ট সম্পদ যুদ্ধে ব্যয় করে, সঙ্গীর সহায়তা করে, ঝগড়া ফ্যাসাদ ও অপকর্ম হতে বেঁচে থাকে। তার নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থার সব কিছুই পূণ্যে পরিণত হয়। ২. যে গর্বভরে লোক দেখানো ও সুনামের জন্য যুদ্ধ করে এবং ইমামের (নেতার) অবাধ্য থাকে ও পৃথিবীতে অন্যায় কাজ করে, সে সামান্য কিছু পুণ্য নিয়েও বাড়ি ফিরে না। তাখরিজ: সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৫১৫
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক হাসান)
ব্যাখ্যা: ঐ যুদ্ধ পূণ্যের যাতে আল্লাহর আল্লাহর সন্তুষ্টি, আমিরের আনুগত্য এবং সাথী সঙ্গীদের সহায়তার নিয়ত থাকে। অর্থাৎ যুদ্ধ একটি কিন্তু নিয়ত তিনটি।
হাদিস নং -০৫
. قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْخَيْلُ قَالَ " الْخَيْلُ ثَلاَثَةٌ هِيَ لِرَجُلٍ وِزْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ سِتْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ فَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ وِزْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا رِيَاءً وَفَخْرًا وَنِوَاءً عَلَى أَهْلِ الإِسْلاَمِ فَهِيَ لَهُ وِزْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ لَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ فِي ظُهُورِهَا وَلاَ رِقَابِهَا فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ فِي مَرْجٍ وَرَوْضَةٍ فَمَا أَكَلَتْ مِنْ ذَلِكَ الْمَرْجِ أَوِ الرَّوْضَةِ مِنْ شَىْءٍ إِلاَّ كُتِبَ لَهُ عَدَدَ مَا أَكَلَتْ حَسَنَاتٌ وَكُتِبَ لَهُ عَدَدَ أَرْوَاثِهَا وَأَبْوَالِهَا حَسَنَاتٌ وَلاَ تَقْطَعُ طِوَلَهَا فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ آثَارِهَا وَأَرْوَاثِهَا حَسَنَاتٍ وَلاَ مَرَّ بِهَا صَاحِبُهَا عَلَى نَهْرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَسْقِيَهَا إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ مَا شَرِبَتْ حَسَنَاتٍ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْحُمُرُ قَالَ " مَا أُنْزِلَ عَلَىَّ فِي الْحُمُرِ شَىْءٌ إِلاَّ هَذِهِ الآيَةُ الْفَاذَّةُ الْجَامِعَةُ ( فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ) "
অর্থাৎ জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! ঘোড়ার হক কি? উত্তরে তিনি বললেন, ঘোড়া তিন প্রকার। ঘোড়া কারো জন্য বোঝা হবে। আর কারো জন্য হবে আবরণ। আর কারো জন্য তা হবে পূণ্য। যার জন্য ঘোড়া বোঝা স্বরূপ হবে তা সে ব্যক্তি যে তার ঘোড়াকে বেধে রেখেছে লোকদের দেখানো, গর্ব প্রকাশ এবং মুসলমানদের শক্রতা পোষণের জন্য। এ ঘোড়াই হবে তার জন্য বোঝা স্বরূপ। যে ঘোড়া কারো জন্য আবরন স্বরূপ হবে, তা সে ব্যক্তির ঘোড়া যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বেঁধে রেখেছে এবং এর পিঠ ও ঘাড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আল্লাহর হকের কথাও সে ভুলে যায়নি। এ ঘোড়াই হরে তার জন্য ঢাল স্বরূপ। আর যে ঘোড়া মালিকের জন্য পূণ্য স্বরূপ হবে তা ঐ ব্যক্তির ঘোড়া, যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বাগান বা সবুজ তৃণভূমিতে বেঁধে রেখেছে। ঘোড়াটি ঐ চারণভূমি বাগান থেকে যে পরিমাপ ভক্ষণ করবে এর বিনিময়ে তাকে দেয়া হবে পুণ্য। অনরূপভাবে এর মল মূত্রের বিনিময়েও পরিমাণ তাকে পূণ্য দেয়া হবে। আর ঘোড়াটি যদি তার রশি ছিড়ে এক বা দুটি টিলা অতিক্রম করে; তবে তার প্রতিটি পদচিহ্ন ও গোবরের বিনিময়েও তাকে পুণ্য দেয়া হবে। যদি মালিক ঘোড়াটি নিয়ে কোন নদী-নালা অতিক্রম করে এবং মালিক ঘোড়াটিকে পানি পান করানোর ইচ্ছা না করা সত্ত্বেও যদি ঘোড়াটি কিছু পানি পান করে নেয়, তবে যে পরিমাণ পানি পান করেছে সে পরিমাণ নেকী তাকে দেয়া হবে। তাখরিজ: তিরমিজি -১৬৩৬; মুসলিম -৯৮৭; বুখারি -২৮৬০
নোট: হাদিসটির অংশ বিশেষ উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্যাখ্যা:ঘোড়া একটিই। সেই ঘোড়া ডাল স্বরূপ আবার পূণ্য বয়ে আনে।
উল্লেখ্য যে, সাধারণ মানুষ/আলেম হাদিসের সাধারণ অর্থ বুঝে আর ফুকাহায়ে উম্মত হাদিসটির গভীর অর্থ উপলদ্ধি করে মাসয়ালা ইস্তেমবাত করেন।
যেমন বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম তিরমিজি (রহ.) বলেন, الفقهاء هم اعلم يعني الحديث অর্থাৎ ফুকাহায়ে কেরাম হাদিসের অর্থ বিষয়ে অধিক জ্ঞাত। সূত্রঃ জামে তিরমিজি-৩/৩১৫পৃ.
ফিকহি দলিল:
فالصلاتان اللتان يمكن الجمع بينهما في النية، هما اللتان تكون كل واحدة منهما غيرمقصود لذاتها، وإنما المقصود شغل الوقت بالصلاة كتحية المسجد، وسنة الوضوء.
أو تكون إحداهما غيرمقصودة لذاتها، والأخرى مقصودة لذاتها، فيجوز الجمع بينهما إذا نُوِيت الصلاة المقصودة لذاتها، ويحصل أجر الصلاتين كالراتبة، وتحية المسجد. وراجع التفصيل عن هذا الموضوع، في الفتوى رقم
অর্থাৎ নিয়তে যে দু’টি নামায একত্রিত হতে পারে সেগুলি হল সেগুলির প্রত্যেকটি নিজের উদ্দেশ্যে নয়, বরং উদ্দেশ্য হল সময়কে সালাত দ্বারা পরিপূর্ণ করা, যেমন মসজিদে সালাম দেওয়া এবং ওযুর সুন্নত।
অথবা তাদের একটি নিজের জন্য উদ্দেশ্য নয়, এবং অন্যটি নিজের জন্য নিয়ত করা হয়, তাই তাদের একত্রিত করা জায়েয যদি নিয়তকৃত সালাতটি নিজের জন্য নিয়ত করা হয় এবং দুটি নামাযের সওয়াব পাওয়া যায়, যেমন নিয়মিত সালাত, এবং মসজিদের সালাম। সূত্র: ফিকহুল ইবাদাত, আননাওয়াফিলুল লাতি য়ুমকিনুল জাময়ি বাইনাহা ফিন নিয়াত -৩৮২৯৪৮ ( ফতোয়া নং)
সারকথা হলো, তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে ছলাতুল হাজত, ইস্তিগফার,তাহইয়াতুলঅজু ইত্যাদি এবং ২/৪ রাকাত তাহাজ্জুদের ছলাত আদায় করা হলে, সব সালাতের সওয়াব পাবে এবং তাহাজ্জুত হিসেবে গণ্য হবে।
ইহা ছাড়াও ৮ বা ১২ রাকাত তাহাজ্জুদের ছালাত আলাদাভাবে আদায় করতে হবে না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন