আসসালামু অলাইকুম। একজন জানতে চেয়েছেন, উনার প্রশ্ন হুবহু তুলে ধরলাম,
আমি সরকারি চাকুরি করি। আমার বেতন ২০ হাজার। আমার বিয়ের সময় শ্বশুর বাড়ি থেকে আমার স্ত্রীকে যে স্বর্ণ দিছে একবছর পর তার যাকাতই হয় ৩৫ হাজার। এখন এই যাকাত এর টাকা কিভাবে দিব। যেখানে আমার বেতনের টাকা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাই।।
উল্লেখ উক্ত স্বর্ণের মালিকানা হলো স্ত্রীর এবং তার নগদ কোনো টাকা নেই।
সমাধান দিলে উপকৃত হতাম
তারিখ: ০৪/০৪/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা মোঃ কামরুল হাসান যশোর থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, যাকাত ফরজ হওয়ার পর যাকাত থেকে অব্যাহতির কোনো সুযোগ নেই। জাকাত মাফ হয় না, পরে হলেও আদায় করতে হয়।
যাকাত না দেয়ার পরিণতি বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ يَوْمَ يُحْمَى عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ هَذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُونَ
“আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে। (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।” (সূরা তাওবা: ৩৪-৩৫)
সারকথা হলো, নগদ টাকা না থাকলে ঋণ করে, প্রয়োজনে স্বর্ণ কিছু বিক্রি করে হলেও জাকাত দিতে হবে।
ধরুন! আপনার/ আপনার পরিবারের কারও অসুস্থতার চিকিৎসা দরুন টাকা প্রয়োজন, এখন আপনার কাছে নগদ টাকা পয়সা নেই, তাই বলে কি আপনি চিকিৎসা করবেন না। অবশ্যই ব্যবস্থা করবেন। ঠিক তেমনি জাকাতও আল্লাহর পক্ষ থেকে জরুরি ফরজ এবাদত, অবশ্যই তা ব্যবস্থা করতে হবে।
শেষ কথা হলো, স্ত্রী যদি সাহেবে নিসাব হয়, তাহলে স্ত্রীর ওয়াজিব জাকাত দেওয়া স্বামীর উপর নয়। অবশ্য স্বামী দিলে আদায় হয়ে যাবে।
- والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন